ছুটি সংক্রান্ত নীতিমালা
প্রতিষ্ঠানের
নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দের জন্য ছুটি সংক্রান্ত একটি নীতিমালা
প্রণয়ন করেছে। এই বিধিমালা বাংলাদেশে শ্রম আইন ২০০৬ (২০১৩ সংশোধনী সহ) এর আলোকে প্রণয়ন
করা হয়েছে।
ছুটির
প্রকার:
১) সাপ্তাহিক ছুটি ২) নৈমিত্তিক ছুটি ৩) অসুস্থতাজনিত ছুটি
৪) উৎসব ছুটি ৫) অর্জিত ছুটি ৬) প্রসূতি কালীন ছুটি
1.
ছুটির
অনুমোদনকারী:
ব্যবস্থাপনা
পরিচালক সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের ছুটি অনুমোদন করবেন।প্রশাসন বিভাগের প্রধান বিভাগের
প্রধানদের ছাড়া অন্যান্য সকলের ছুটি অনুমোদন করবেন।
2.
ছুটি
নেয়ার পদ্ধতি:
ছুটি
প্রার্থীকে কোম্পানীর নির্ধারিত ফরমে ছুটির জন্য অবেদন করতে হবে।ছুটির আবেদন পত্র পূরন
করে প্রথমে যার যার বিভাগের বিভগীয় প্রধানের কাছে জমা দিতে হবে বিভাগীয় প্রধান ছুটির
সুপারিশ করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রশাসন বিভাগে পাঠাবেন। প্রশাসন বিভাগ চ‚ড়ান্ত অনুমোদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহন করবেন।
3.
সাপ্তাহিক
ছুটি:
প্রত্যেক
কর্মকর্তা, কর্মচারী বৃন্দ সপ্তাহে ০১ (এক) দিন সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করবেন। জরুরী প্রয়োজনে
কোন সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করানো হলে যথাশীর্ষ সম্ভব ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি প্রদান
করা হবে এবং ওভার টাইম প্রদান করা হবে।
4.
নৈমিত্তিক
ছুটি:
প্রত্যেক
কর্মী বছরে পূর্ণ বেতন সহ ১০ (দশ) দিনের নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করবেন।
5.
অসুস্থতাজনিত
ছুটি:
প্রত্যেক
কর্মী বছরে পূর্ণ বেতন সহ ১৪ চৌদ্দ) দিনের
অসুস্থতাজনিত ছুটি ভোগ করবেন।
6.
উৎসব
জনিত ছুটি:
প্রত্যেক
শ্রমিক বছরে ১১ দিন উৎসব জনিত ছুটি সবেতন ভোগ করতে পারবেন। উৎসব জনিত ছুটির দিন ও তারিখ
কর্তৃক নির্ধারিত করে নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেয়া হয়।
7.
অর্জিত
ছুটি:
কোন
শ্রমিকের চাকুরীর বয়স একটানা ০১ (এক) বৎসর পূর্ণ হলে পরবর্তী বছরে ১৮ কর্মদিবসের জন্য
০১ দিন হারে ছুটি ভোগ করার অধিকার হবেন এবং
অর্জিত ছুটি সর্বোচ্চ ৪০ (চল্লিশ) দিন পর্যন্ত জমা রাখা যাবে।
8.
প্রসূতি
কালীন ছুটি:
কর্তৃপক্ষ
মহিলা কর্মীদের নি¤œলিখিত
শর্তসাপেক্ষে মার্তৃকালীন ছুটি প্রঙ্গন করবে। ছুটি প্রার্থী মহিলা কর্মীকে নূন্যতম
৬ (ছয়) মাস বিরতিহীন ভাবে কোম্পানীতে কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। সন্তান প্রসবের ০৮ (আট)
সপ্তাহে পূর্বে এবং প্রসবের ০৮ (আট) সপ্তাহ পরে ডাক্টারী সাটিফিকেট দাখিল সাপেক্ষে
মোট ১৬ (ষোল) সপ্তাহ এই ছুটি এবং “ প্রসূতি কল্যান ভাতা” পাওয়ার অধিকার হবেন।
0 Comments