অসদাচরণ / MISCONDUCT

 

অসদাচরণ / MISCONDUCT

অসদাচরণ

শ্রমিকের জন্য যে কাজ গুলো অসদাচরণ হিসাবে গণ্য হবে

• একা বা দলবদ্ধ হয়ে কর্তৃপক্ষের কোন যুক্তিসংগত আদেশ অমান্য করা।
• চুরি, আত্মসাৎ, প্রতারণা ও অসাধুতা।
•  ঘুষ দেয়া বা নেয়া।
• বিনা ছুটিতে একটানা ১০ দিনের বেশি অনুপস্থিতি এবং অভ্যাসগত অনুপস্থিতি।
• অভ্যাসগত দেরিতে আসা।
• প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অভ্যাসগতভাবে লংঘন।
• কাজ কর্মে গাফিলতি।
•  প্রধান পরিদর্শকের দেয়া কোন বিধি বিধানের লংঘন।
•  প্রতিষ্ঠানের রেকর্ড, নথিপত্র ইত্যাদির ক্ষতিসাধান।
• প্রতিষ্ঠানে উচ্ছৃংখলতা, দাংগা-হাংগামা, অগ্নিসংযোগ বা ভাংচুর করা।

 

 

 

অসদাচরণের শাস্তি

 

·        অভিযুক্ত শ্রমিক শুনানী ও তদন্ত সাপেক্ষে দোষী সাব্যস্ত হলে, তাকে বরখাস্ত করা যাবে।

·        ক্ষেত্র বিশেষে বরখাস্তে পরিবর্তে পদ থেকে অপসারণ, নীচের পদে অনধিক এক বছর পর্যন্ত আনয়ন, পদোন্নতি বা মজুরী বৃদ্ধি অনধিক এক বছরের জন্য বন্ধ রাখা, জরিমানা, অনধিক সাত দিন পর্যন্ত বিনা মজুরীতে বা খোরাকীতে সাময়িক বরখা¯ত, ভর্ৎসনা ও সতর্কীকরণ।

 

 

 

 

 

 

শাস্তির পদ্ধতি

 

·        কর্তৃপক্ষের অভিযোগ লিখিতভাবে শ্রমিককে দিতে হবে।

·        শ্রমিক আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন।

·        জবাবের জন্য অভিযোগ প্রাপ্তি থেকে কমপক্ষে সাত দিন সময় দিতে হবে।

·        অভিযুক্ত শ্রমিক তদšত সাপেক্ষে সাময়িক বরখা¯ত হতে পারেন।

·        মালিক বা ব্যবস্থাপক বরখা¯েতর আদেশ অনুমাদন করবেন।

·        সাময়িক বরখা¯েতর আদেশ লিখিত হবে এবং শ্রমিককে প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে।

·        শাস্তির আদেশ প্রদানের আগে সাধারণত পূর্বের রেকর্ড বিবেচিত হওয়া উচিত।

 

 

 

 

শ্রমিকের প্রাপ্য ও অধিকার

·        সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদ ৬০ দিনের বেশী হবে না।সাময়িক বরখাস্তকালে শ্রমিক খোরাকী ভাতা হিসাবে তার গড় মজুরীর অর্ধেক পাবেন।

·        বরখাস্তকৃত শ্রমিককে যদি তার চাকুরীর বয়স অবিচ্ছিন্নভাবে কমপক্ষে ১  বছর হয় তা হলে মালিক ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্যেক সম্পূর্ণ চাকুরী বছরের  জন্য ১৫ দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি (যা অধিক হবে) প্রদান করবেন। তবে মালিকের ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি, আত্মসাৎ, প্রতারণা বা অসাধুতার জন্য বরখাস্ত হলে কোন ক্ষতিপুরণ পাবেন না। অপরাধ প্রমাণিত না হলে সাময়িক বরখাস্তকালীন সময় কার্যকাল হিসাবে গণ্য হবে এবং ঐ সময়ের খোরাকী ভাতা সমন্বয় করে পূর্ণ মজুরী পাবে।

 

 

 

 

 

মালিকের কর্তব্য

·        নিয়োগের সময় প্রত্যেক শ্রমিককে অসদাচরণের কারণ সমূহ সম্পর্কে সতর্ক করা।

·        শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুযায়ী অসদাচরণের শাস্তি ও শাস্তির পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করা।

 

 

 

 

শ্রমিকের দায়িত্ব

 

·        অসদাচরণের কারণ সমূহ জানা।

·        অসদাচরণ হতে পারে এমন সকল কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।

·        কারখানার সকল নিয়ম নীতি মেনে কাজ করা।