হয়রানী এবং অপব্যবহার / Harassment and abuse
হয়রানী এবং অপব্যবহার
হয়রানী কি?
হয়রানী হচ্ছে এক বা একাধিক ব্যক্তি দ্বারা সংগঠিত যে কোন ধরনের অপ্রত্যাশিত আচরণ, অংগভঙ্গি অথবা উক্তি যা কর্মস্থলের অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গেে জন্য অপমানজনক, ভীতিকর, অবমাননাকর, বেদনাদায়ক বিদ্বষপরায়ণ, মর্যাদা হানিকর এবং কাজের পরিবেশকে অস্বস্তিকর ও প্রতিকুল করে তোলে।
হয়রানী কিভাবে হয়?
কোন
ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের শারীরিক বৈশিষ্ঠ্য, ধর্ম, বর্ণ বা জাতিগত উৎস ইত্যাদি নিয়ে কোন রকম ব্যঙ্গ বা ঠাট্টা এবং বিব্রতকর ও অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করা। ভয়ভীতি প্রদর্শন বা শাস্তিমূলক আচরণের মাধ্যমে কারো আত্মসম্মানে আঘাত করা। অপ্রত্যাশিত শারীরিক স্পর্শ। অনাকাংক্ষিত যৌন আবেদনমূলক আচরণ, মন্তব্য, ইঙ্গিত বা আহবান। যে কোন ধরণের শারীরিক বা যৌন নির্যাতন।
অপব্যবহার কি?
অপব্যবহার হচ্ছে এক ধরনের দমনমূলক আচরণ, যা একে অন্যের উপর ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য প্রয়োগ করা হয়।
অপব্যবহার বিভিন্নভাবে সংগঠিত হয়ে থাকে
কথার মাধ্যমে:
·
একে অন্যের প্রতি আক্রমনাতœক ও অনাকাংক্ষিত বক্তব্যের মাধ্যমে অপব্যবহার সংগঠিত হয়।
মানসিকভাবে:
·
কর্মস্থলে কোন অসৌজন্যমূলক আচরণ যা অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করে এবং মানসিক কষ্ট দেয় তাই মানসিক অপব্যবহার।
ভীতি প্রদর্শন:
·
কোন ব্যক্তির কথা, ইঙ্গিত, মুখভঙ্গি দ্বারা অন্য কারো মনে ভয়ের সৃষ্টি হলে তাকে ভীতি প্রদর্শনমূলক অপব্যবহার হিসাবে গণ্য করা হবে।
বিচ্ছিন্নকরণ:
·
যে কোন ধরণের শারীরিক বা মানসিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কারো পারিবারিক এবং সামাজিক যোগাযোগ সীমাবদ্ধ অথবা বাধাগ্রস্থ হলে তা বিচ্ছিন্নকরণ অপব্যবহার হিসাবে বিবেচিত হবে।
বিরক্তি সৃষ্টি:
·
অনাকাংক্ষিত স্পর্শ বা নজরদারীর মাধ্যমে কারো মনে বিরক্তি সৃষ্টি হলে তা অপব্যবহার বলে গণ্য হবে।
ধর্মীয় আচরণ:
·
ধর্মীয় বিশ^াসের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে কোন বিশেষ গোষ্টির কাজে অংশগ্রহণকে নিয়ন্ত্রণ বা সীমাবদ্ধ করাকে ধর্মী অপব্যবহার বলা হয়। যথা- পুরুষদের কাজে অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দেয়া।
যৌন অপব্যবহার:
·
অনাকাংক্ষিত যৌন কার্যকলাপ যা কোন নিয়ন্ত্রণমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পাদন করা হয় অথবা যা থেকে এক পাক্ষিক বাসনা পূরণ হয়।
অর্থনৈতিক অপব্যবহার:
·
অর্থনৈতিক অপব্যবহারের ক্ষেতে কোন ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষে অর্থ ও সম্পদকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
শ্রম আইন অনুযায়ী মহিলাদের প্রতি আচরণ:
কোন
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন মহিলার প্রতি এ প্রতিষ্ঠানের অন্য কেউ এমন আচরণ করতে পারেন না যা
অশ্লীল বা অভদ্র জনোচিত বলে গণ্য হতে পারে, অথবা উক্ত মহিলার শালীনতা ও সম্ভ্র্রমের পরিপস্থি।
হয়রানী ও অপব্যবহার রোধে শ্রমিকের দায়িত্ব
যে কোন ধরণের হয়রানী বা অপব্যবহারের শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে নিন্মের
যে কোন পদ্ধতি অনুসরন করুন:
১)
আপনার উর্ধতন সেকশ ইনচার্জকে জানানো,
২)
ডচঈ সদস্যকে জানানো,
৩)
ওয়েলফেয়ার অফিসারকে জানানো,
৪)
প্রশাসন বিভাগকে জানানো,
৫)
টয়লেটের পাশের্^ রক্ষিত অভিযোগ বক্সে অভিযোগ দিয়ে।
বি:দ্র: আপনি কোন ভাবেই ধৈর্য্য হারাবেন না।
হয়রানী ও অপব্যবহার রোধে মালিকের দায়িত্ব
হয়রানী ও অপব্যবহার মুক্ত
নীতিমাল প্রণয়ন কারখানার সকল শ্রমিক-কর্মচারীকে হয়রানী ও অপব্যবহার মুক্ত নীতিমালা সম্পর্কে সচেতন করা। হয়রানী বা অপব্যবহার সংক্রান্ত কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে তৎক্ষনাত তদন্ত সাপেক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। হয়রানী বা অপব্যবহার প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্থা কার্যকর ভ‚মিকা
না রাখলে সে ক্ষেত্রে বিরাজমান নীতিমালা সংস্কার করা।
0 Comments