দূনীতি ও ঘুষ বিরোধী ঝুঁকি নিরুপন/ Anti- corruption Risk Assessment
মার্কেটিং ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ:
ঝুঁকি সমূহ:
1) অতিরিক্ত কমিশন প্রদান করে কাজ নেওয়া।
2) সুতা, লেবেল,প্রিন্ট,কাটুন,পলি, এ্যামব্রডারী সহ বিভিন্ন সরবরাহকারীদের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকে।
ঝুঁকির প্রভাব সমূহ:
1) কোম্পানীর লভ্যাংশ কমে যায় ।
2) অবৈধ্য অর্থ অথবা উপহার গ্রহনের আশায় মান সম্মত সরবরাহকারী নির্ধারন না করায় উৎপাদিত পন্যের জাহাজীকরনের সমস্যা হতে পারে
ঝুঁকি প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ:
1) মধ্যসত্বভোগীদের কাছ থেকে কাজ না নিয়ে সরাসরি ক্রেতাদের নিকট হতে কাজের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
2) ক্রয় কমিটির মাধ্যম্যে সমস্ত পণ্য ক্রয় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাপ্লাইয়ার নির্ধারন সাপেক্ষে পন্য সরবরাহের নির্দেশ দেয়া হয়ে থাকে ।
মালামাল
ক্রয় শাখা:
ঝুঁকি সমূহ:
1)
পণ্য
বাজারমূল্যের চেয়ে বেশী দামে ক্রয় হতে পারে।
2)
পণ্য
ক্রয়ে অবৈধ্য আর্থিক লেনদেন হতে পারে।
3)
নিম্নমানের
পণ্য ক্রয় হতে পারে।
ঝুঁকির প্রভাব সমূহ:
1)
কোম্পানীর
লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা।
2)
কোম্পানীর
লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা।
3)
ক্রেতা
মান সম্মত পণ্য না পেয়ে পণ্য সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এমন কি ক্রেতা
মুখ ফিরিয়ে অন্যত্র থেকে মাল ক্রয় করতে পারে।
ঝুঁকি প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ:
1) ক্রয় কমিটির মাধ্যম্যে বাজার যাচাই সাপেক্ষে পণ্য ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
2) ক্রয় কমিটির মাধ্যম্যে বাজার যাচাই সাপেক্ষে পণ্য ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিলে পণ্য ক্রয়ে অবৈধ্য আর্থিক লেনদেন বন্ধ হবে।
3) ক্রয় কমিটির মাধ্যম্যে বাজার যাচাই সাপেক্ষে পণ্য ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিলে নিম্নমানের পণ্য ক্রয়ের সম্ভাবনা রোধ করতে হবে।
মানব
সম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লাইন্স:
ঝুঁকি সমূহ:
1)
চাকুরী
দিয়ে অবৈধ্য সুবিধা আদায় ।
2)
পদোন্নতি
দিয়ে অবৈধ্য সুবিধা আদায় ।
3)
ছুটি
দিয়ে অবৈধ্য সুবিধা আদায় ।
4)
অনুপস্থিত
শ্রমিক কর্মচারীদের হাজিরা পদান করে অবৈধ্য সুবিধা আদায় ।
ঝুঁকির প্রভাব সমূহ:
1)
কারখানার
ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট হয় ।
2)
যোগ্য
চাকুরী প্রার্থী নির্বাচন সম্ভব হয় না ।
3)
কারখানার
ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট হয় ।
4)
কারখানায়
শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।
ঝুঁকি প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ:
1) কর্তৃপক্ষ নিয়োগ কমিটির মাধ্যম্যে সমস্ত নিয়োগ পরিচালনারক্ষেত্রে পলিসি আছে যা যথাযথ ভাবে অনুসরণ করে নিয়োগ ণিতি পরিচালিত হয় ।
2) নিয়োগ এর ক্ষেত্রে সচ্ছতা ও জবাব দিহিতার ব্যবস্থা আছে, যাহাতে কেহ চাকুরী দিয়ে অবৈধ্য সুবিধা আদায় করতে না পারে ।
3) পদোন্নতি, হাজিরা ও ছুটি সহ যাবতীয় ক্ষেত্রে পলিসি আছে, সচ্ছতা ও জবাব দিহিতার ব্যবস্থা আছে , যাহাতে কেহ উক্ত সুবিধার প্রদানের মাধ্যম্যে অবৈধ্য সুবিধা আদায় করতে না পারে।
ষ্টোর
সেকশন:
ঝুঁকি সমূহ:
1)
মাল
সরবরাহকারীর নিকট হতে অবৈধ্য সুবিধা নিতে পারে ।
2)
অবৈধ্য
সুবিধা নেওয়ার আশায় সমস্যা দেখিয়ে পণ্য রিজেক্ট করতে পারে।
3) অবৈধ্য সুবিধা নেওয়ার আশায় পণ্য কম
করে রিসিভ করতে পারে।
ঝুঁকির প্রভাব সমূহ:
1)
কারখানার
ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট হয়।
2)
সাপ্লাইয়ারদের
মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে এমন কি ভালো সাপ্লাইয়ার পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে।
এমন কি সিপমেন্টের সময় বিভিন্ন পণ্য কম হলে সট সিপমেন্ট হতে পারে।
ঝুঁকি প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ:
1) মাল সরবরাহকারীর নিকট হতে অ‣বধ্য সুবিধা নিতে না পারে সে জন্য সাপ্লাইয়ার সিলেকশন নীতিমালা মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
2) সরবরাহকৃত পণ্য রিজেক্ট নীতিমালা ক্সতরী করা হয়েছে।
3) অবৈধ্য সুবিধা নেওয়ার আশায় পণ্য কম করে রিসিভ করতে না পারে সে জন্য গেটে পণ্য গননার ব্যবস্থা সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত যাচাইকারী ও মার্চেন্ডাইজিং শাখা দায়িত্বপালন করবে ।
একাউন্স
বিভাগ:
ঝুঁকি সমূহ:
1)
বিল
আটকিয়ে সুবিধা অবৈধ আদায় ।
2)
বেতনের
সময় খুচরো টাকা প্রদান না করা।
3)
কোম্পানীর
টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা।
ঝুঁকির প্রভাব সমূহ:
1)
কারখানার
ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট হয় ।
2)
শ্রমিক
অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে।
3)
কারখানায়
টাকার সরবরাহ না থাকায়, কারখানার জরুরী কাজকর্ম বন্ধ থাকতে পারে।
ঝুঁকি প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ:
1) কারখানা কর্তৃপক্ষ মাননীয় নিবাহীৃ পরিচালক, জি.এম, প্রশাসন ও কমপ্লাইন্স শাখাকে একাউন্স শাখার হিসাব, বিল ও অন্যান্য বিষয় সার্বক্ষনিক তদারকির নির্দেশ দেয়া হয়েছে । প্রতিদিন লেনদেনের হিসাব নিয়মিত করন ও বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
নিরাপত্তা
বিভাগ:
ঝুঁকি সমূহ:
1)
অবৈধ্য
সুবিধা নিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেয়া ।
2)
জুট,
ভাংগা কাটুন ও অনান্য অপ্রয়োজনীয় মালামাল বিক্রয়য়ের সময় ভাল মালামাল বাহিরে যেতে সহযোগীতা
করা।
3)
অবৈধ্য
সুবিধা নিয়ে গেট পাস ছাড়া মালামাল সরবরাহ করা ।
ঝুঁকির প্রভাব সমূহ:
1)
কারখানার
ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট হয় ।
2)
কারখানা
লোকশানের স্বীকার, চুরি, ডাকাতি হতে পারে এমন কি কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ঝুঁকি প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ:
1) কারখানা কর্তৃপক্ষ মাননীয় নির্বাহী পরিচালক , জি.এম, প্রশাসন ও কমপ্লাইন্স শাখাকে নিরাপত্তা বিভাগকে সার্বক্ষনিক তদারকির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন গেট পাশ, চালান, ভিজিটর খাতা নিয়মিত পরিক্ষা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উৎপাদন
বিভাগ:
ঝুঁকি সমূহ:
1)
সট
সিপমেন্ট
2)
সিপমেন্ট
যথা সময়ে না দেয়া।
3)
নিম্নমানের
পন্য ক্সতরী করা।
4)
অতিরিক্ত
কাচামালের অপচয় ।
5)
অতিরিক্ত
জনশক্তি নিয়োগ।
6)
অদক্ষ
তদারকি ব্যবস্থাপনা।
7)
শ্রমিকদের
সাথে অশোভন আচরণ।
ঝুঁকির প্রভাব সমূহ:
1)
ক্রেতা
কর্তৃক পন্য গ্রহন না করা ।
2)
নতুন
অডার না দেয়া ।
3)
কারখানা
হতে ক্রেতা চলে যাওয়া।
4)
শ্রমিক
অসন্তোষ ।
5)
ক্রমবর্ধমান
লোকশান ।
6)
কারখানা
বন্ধ হয়ে যাওয়া ।
ঝুঁকি প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ:
1) কর্তৃপক্ষ উৎপাদন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে সমস্ত প্রক্রিয়া যথাযথভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাহী পরিচালক, জিএম, এজিএম, পি এম, এপিএম, ইনচার্জ, সুপারভাইসার নিয়োগ দেয়া অছে।
0 Comments