অগ্নি নিরর্বাপক সরঞ্জামাদি ও ইহার ব্যবহার বিধি
অগ্নি নির্বাপক হুক বা ফায়ার হুক (Fire Hock): অগ্নিস্থল থেকে কোন দ্রব্য বা
মালামাল টেনে বের করার ক্ষেত্রে ফায়ার হুক ব্যবহার করা হয়।বিদ্যুতায়িত হয়ে
কেউ আটকে গেলে তাকে সরানোর জন্য ফায়ার হুক ব্যবহার করা হয়।
ফায়ার বিটার (Fire Beater): চাপ দিয়ে আগুন নিভানোর কাজে ফায়ার বিটার
ব্যবহার করা হয়।
স্ট্রেচার (Stretcher): আহত ব্যক্তিকে নিরাপদ বহন করার কাজে স্ট্রেচার
ব্যবহার করা হয়।
ধোঁয়া প্রতিরোধক মুখোশ বা গ্যাস মাস্ক (Gas Mask): দূষিত বায়ু অথবা
কার্বন-ডাই অক্সাইড থেকে রক্ষা পেতে গ্যাস মাস্ক ব্যবহার করা হয়।
অগ্নি নিরাপত্তা জুতো (Fire Gumboot): আগুন ও সম্ভাব্য আঘাত থেকে পা কে
রক্ষা করার জন্য অগ্নি নিরাপত্তা জুতো ব্যবহার করা হয়।
অগ্নি নির্বাপক কম্বল Fire Blanket): কোন ব্যক্তির শরীরে আগুন লাগলে বাচাঁর
জন্য কম্বল ব্যবহার করা হয়।
অগ্নি নিরাপত্তা হাত মোজা বা হ্যান্ড গ্লোভস্ (Hand Gloves): আগুন অথবা
সম্ভাব্য আঘাত থেকে হাতকে রক্ষা করার জন্য হ্যান্ড গ্লোভস্ ব্যবহার করা হয়
অগ্নি নিরাপত্তা হেলমেট (Helmet): শক্ত কোন কিছুর আঘাত থেকে মাথাকে
রক্ষা করার জন্য হেলমেট ব্যবহার করা হয়।
সেফটি বেল্ট (Safety Belt): জরুরী অবস্থায় ঝুলে কাজ করার সময় সেফটি
বেল্ট ব্যবহার করুন।
বেলচা (Belcha): জরুরী আগুন নিভাতে বেলচা ব্যবহার করুন।
টর্চ লাইট (Torch light): অন্ধকারাছন্ন জায়গায় চলাচল করতে টর্চ লাইট ব্যবহার
করা হয়।
অগ্নি নিরর্বাপক সরঞ্জামাদি ও ইহার
ব্যবহার বিধি
১. অগ্নি কান্ড যেন না ঘটে সে ব্যবস্থা গ্রহণ:
*
সকল বৈদ্যুতিক সরাঞ্জামের নিরাপদ সংরক্ষণ।
* সকল কেমিক্যাল জাতীয় যন্ত্র আগুন, তাপ এবং বিদ্যুৎ হতে
দূরে রাখুন।
*
অনুমোদিত স্থান ছাড়া ধূমপান নিষিদ্ধ করন।
২. দ্রুত হুসিয়ারী সংকেতের ব্যবস্থা গ্রহন:
*
অগ্নি ঘন্টা বাজাতে হবে।
৩. বড় কারখানা সমূহে অগ্নি সনাক্তকারী যন্ত্র স্থাপন করুন:
*
স্মোক ডিটেক্টর।
*
হিট ডিটেক্টর।
*
বৈদ্যুতিক এলার্ম।
৪. নিরাপদ বহিগর্মনের জন্য প্রশিক্ষণ:
* নিয়মিত ফায়ার ড্রিল।
*
অগ্নি নিরাপত্তা মহরা।
৫. অগ্নি বহিগর্মনের পথ সমূহ পরিস্কার রাখা:
*
ইভাকিউসন প্লান।
* ইমার্জেন্সী লাইট।
*
ভাল আইস্ মার্কিং।
৬. পর্যাপ্ত বহির্গমন রুট:
*
কমপক্ষে দুইটি বহির্গমন পথ থাকতে হবে।
*
বড় কারখানা সমূহে আরও অধিক রুট থাকতে হবে।
৭. বহিগর্মনের দরজা কখনও তালাবদ্ধ না থাকা:
*
বাহির হওয়ার সকল দরজা সবসময় খোলা থাকবে।
* কারখানা চলাকালীন অবস্থায় কখনও লক করা যাবে না।
৮. সিঁড়ি সমূহ পর্যাপ্ত চওড়া ও নিরাপদ হওয়া:
*
সিঁড়ি কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারবে না।
* সিঁড়ি প্রস্থ এমন হবে যাতে কারখানার সকলে নিরাপদে বের হয়ে
আসতে পারে।
৯. সঠিক স্থানে সঠিক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করা:
*
পর্যাপ্ত পরিমাণ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করতে হবে।
* যে স্থানে যে ধরনের আগুনের সূত্রপাত হতে পারে সেখানে সেই ধরনের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করতে হবে।
১০.
উপরে উল্লেখিত পয়েন্ট সমূহ নিয়মিত পরীক্ষা করুন, অগ্নি নিরাপত্তার সকল নিয়মকানুন সঠিক ভাবে নিশ্চিত করুন এবং অগ্নিকান্ড যাতে না হয় সেই ব্যাপারে সর্বদা সর্তক থাকুন।
0 Comments